আবু জাফর শামসুদ্দীন
আবু জাফর শামসুদ্দীন (১৯১১-১৯৮৮)। জন্ম : দক্ষিণবাগ গ্রাম, গাজীপুর, ১৯১১। সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। ১৯২৪-এ স্থানীয় একডালা মাদ্রাসা থেকে জুনিয়র মাদ্রাসা পরীক্ষায় ও ১৯২৯-এ ঢাকা সরকারি মাদ্রাসা থেকে হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। কিছুদিন ঢাকা ইন্টারমেডিয়েট কলেজে অধ্যয়ন। কলকাতায় গমন। সেখানে দৈনিক সুলতানের সহ-সম্পাদক হিসেবে চাকরিতে যোগদান। ১৯৪২-এ দৈনিক আজাদের সাব-এডিটর পদে নিযুক্ত হন। ১৯৫০-১৯৫১-তে সাপ্তাহিক ইত্তেফাকের সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন। ১৯৫২-র ফেব্রুয়ারির ভাষা-আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ। ১৯৫৭-র ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত কাগমারী সাংস্কৃতিক সম্মেলনের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬১-তে বাংলা একাডেমির অনুবাদ বিভাগের অধ্যক্ষ নিযুক্ত। ১৯৭২-এ চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ। পরে দৈনিক পূর্বদেশের সম্পাদকীয় বিভাগে যোগদান। পরবর্তী সময় দৈনিক সংবাদে চাকরি গ্রহণ। এ পত্রিকায় 'অল্পদর্শী' ছদ্মনামে বৈহাসিকের পার্শ্বচিন্তা' কলাম রচনা। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে দায়িত্ব পালন। বাংলাদেশ শান্তিপরিষদের সভাপতি, বাংলা একাডেমির কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচিত সদস্য, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বাংলাদেশ আফ্রো-এশীয় লেখক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সভাপতি । প্রকাশিত গ্রন্থাবলি উপন্যাস- পরিত্যক্ত স্বামী (১৯৪৭), মুক্তি (১৯৪৮), ভাওয়াল গড়ের উপাখ্যান (১৯৬৩), পদ্মা মেঘনা যমুনা (১৯৭৪), সংকর সংকীর্তন (১৯৮০), প্রপঞ্চ (১৯৮০), দেয়াল (১৯৮৫); গল্পগ্রন্থ : জীবন (১৯৪৮), শেষ রাত্রির তারা (১৯৬৬), রাজেন ঠাকুরের তীর্থযাত্রা (১৯৭৮), ল্যাংড়ী (১৯৮৪), নির্বাচিত গল্প ১৯৮৮); প্রবন্ধ গ্রন্থ : চিন্তার বিবর্তন ও পূর্ব-পাকিস্তানি সাহিত্য (১৯৬৪), Sociology of Bengal Politics (১৯৭৩), সোচ্চার উচ্চারণ (১৯৭৭), সমাজ, সংস্কৃতি ও ইতিহাস (১৯৭৯), মধ্যপ্রাচ্য, ইসলাম ও সমকালীন রাজনীতি (১৯৮৫), লোকায়ত সমাজ ও বাঙালি সংস্কৃতি (১৯৮৮), বৈহাসিকের পার্শ্বচিন্তা (১৯৮৯)। ১৯৬৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ। সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদক লাভ ।