সাঁওতালরা বাংলাদেশে সুদূর অতীতকাল থেকে বসবাস করে আসছে। এবং নৃতাত্ত্বিক গবেষকদের কাছে ভারতবর্ষের প্রাচীনতম আদিবাসী জাতি হিসেবে পরিগণিত।এরা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে বৃহৎ আদিবাসী জনগোষ্ঠী। এছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, বিহার ও উড়িষ্যায় যথেষ্ট সংখ্যক সাঁওতালদের বসবাস। তারা অস্ট্রিক ভাষাভাষী আদি-অস্ট্রোলীয় চেহারা বৈশিষ্ট্য ও রক্তধারার বৃহৎ মানবগোষ্ঠীর উত্তরাধিকার। পাশাপাশি বসবাসরত মুণ্ডা, মালপাহাড়ি ও ওরাওঁদের সাথে তাদের চেহারার মিল লক্ষ্য করা যায়। প্রাচীন জনজাতি হিসেবে সাঁওতালরাই এ দেশে প্রথম কৃষি উৎপাদন শুরু করে। পেশায় এখনও তারা কৃষিজীবীই। সাঁওতালরা নিজেদের “সানতাল"। বলে পরিচয় প্রদানে পছন্দ করে।বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত সাঁওতালরা তাদের সমাজ কাঠামোয় এখনও পাড়া বা গ্রামভিত্তিক নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে তাদের প্রাচীন। সামাজিক প্রথাকে বহাল রেখেছে। তাদের পাড়া বা গ্রামভিত্তিক সমাজে কলহ-বিবাদ ও নানা সামাজিক বিচার ব্যবস্থ ও উন্নয়ন কাজ পাড়া প্রধানের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।প্রাচীনকাল থেকেই সাঁওতালরা আজও অবধি নানা লৌকিক পূজা-অর্চনা করে আসছে। তাদের আদি দেবতার নাম বোঙ্গা। বোঙ্গার নানা শ্রেণীকরণ আছে। তৎসত্ত্বেও অনেক আগেই অনগ্রসর জাতির মানুষ হওয়ার অগ্রসর বর্ণবাদী আর্য ব্রাহ্মণদের প্রভাবে তারা নিম্নবর্ণের সনাতন হিন্দুধর্মের অনুসারী হনো নিম্নবর্গীয় ব্রাত্যজনের জনগোষ্ঠী হিসেবেই পরিগণিত। আর এখন অনেকেই খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হচ্ছে।প্রাচীন আদিবাসী হওয়া সত্ত্বেও তাদের মাঝে নানা অনক্ষর সমাজের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। তাদের যে লোকজসংস্কৃতি তাতে প্রকৃতিপূজার সর্বপ্রাণবাদের নানা উপকরণের বৈশিষ্ট্য বিরাজমান।বর্তমানে অধিকাংশ সাঁওতাল দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। ফলে শিক্ষা-দীক্ষা ও তাদের সংস্কৃতি সংরক্ষণে পিছিয়ে পড়েছে। এ থেকে উদ্ধার পাওয়ার একমাত্র উপায় রাষ্ট্রের এগিয়ে আসা।এই গ্রন্থে সাঁওতালদের প্রাগৈতিহাসিক কাল, নৃতাত্ত্বিক পরিচয় ও সৃষ্টিতত্ত্ব, ভাষা-সংস্কৃতি, গোত্র-সমাজ, পরিবার ও বিবাহ, উৎসবপর্ব, নৃত্য-গীত, অনক্ষর সমাজের বৈশিষ্ট্য, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এবং সাঁওতাল বিদ্রোহ আলোচিত হয়েছে।
কবি ও গবেষক মুস্তাফা মজিদ এর রয়েছে ১০টি কাব্যগ্রন্থ। যথাক্রমে- ‘মেঘবতী সুবর্ণভূমি, “তােকে নিয়ে প্রেম প্রেম খেলা, কুসুমিত পঞ্চদশী’, ‘পুষ্পপত্রে নীলকণ্ঠ’, ‘জনযুদ্ধের কনভয়, ‘সাকিন সুবিদখালী’, ‘স্বাতীর কাছে চিঠি’, Diary of a Nepalese Guerrillas সম্পাদিত কবিতাসমগ্র ঃ মাও সেতুঙ এবং নিবেদিত কবিতা সংকলন ‘প্রাণিত রবীন্দ্রনাথ’ । এই কবি কবিতা লেখার পাশাপাশি বাংলাদেশে বসবাসরত। মঙ্গোলীয় ক্ষুদ্র নৃগােষ্ঠীর মানুষদের নিয়ে গবেষণার সঙ্গে সঙ্গে লােক প্রশাসন ও আমলাতন্ত্র নিয়েও গবেষণা করে আসছেন। বাংলাদেশের রাখাইন জাতিসত্তার আর্থ-সামাজিক ও প্রশাসনিক সমীক্ষা নিয়ে অভিসন্দর্ভ রচনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ ডি ডিগ্রী অর্জন করেন। যা বাংলাদেশের রাখাইন’ শিরােনামে বাংলা ভাষায় বাংলা। একাডেমী এবং The Rakhaines শিরােনামে ইংরেজি ভাষায়। ঢাকার মাওলা ব্রাদার্স থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় । ড. মুস্তাফা মজিদের এ পর্যন্ত রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থ সংখ্যা। ৪০ উর্ধ্ব। তার উল্লেখযােগ্য গ্রন্থের মধ্যে ত্রিপুরা জাতি। পরিচয়’, ‘পটুয়াখালীর রাখাইন উপজাতি', আদিবাসী রাখাইন’, ‘মারমা জাতিসত্তা' বাংলাদেশে মঙ্গোলীয়। আদিবাসী’, ‘গারাে জাতিসত্তহজং জাতিসত্তা’, আদিবাসী সংস্কৃতি (১ম ও ২য় খণ্ড), রূপান্তরের দেশকাল’, ‘সমকালের আত্মকথন’, ‘লােক প্রশাসনের তাত্ত্বিক প্রসঙ্গ’, ‘বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র', 'রাজনীতিতে সামরিক আমলাতন্ত্র’, ‘নেতৃত্বের স্বরূপ’, বাংলাদেশে বঙ্কিমচন্দ্র’, ‘মুক্ত ও মুগ্ধদৃষ্টির রবীন্দ্র বিতর্ক’ । আর ছােটদের জন্য রচিত ও সম্পাদিত গল্প গ্রন্থ। ‘দীপুর স্বপ্নের অরণি’, ‘জীবন থেকে’ ও ‘ছােটদের ৭টি মঞ্চ নাটক’ এবং জীবনী গ্রন্থ ‘রূপকথার নায়ক হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন’ ও ‘বঙ্গবীর ওসমানী। মার্কসীয় মুক্ত চিন্তার যৌক্তিক দৃষ্টবাদে অবিচল মুস্তাফা মজিদ কৈশােরে উনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান এবং একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে। অংশগ্রহণসহ কৈশাের থেকেই নানা সাংস্কৃতিক আন্দোলনে। জড়িত । বাংলা একাডেমীর জীবন সদস্য, জাতীয় কবিতা পরিষদ, ছায়ানট, ঢাকা থিয়েটার ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য। এছাড়াও তিনি সত্তর ও আশির দশকে শিশু-কিশাের। সংগঠন গড়া ও নাট্য আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন । পেশায় প্রথমে সাংবাদিকতা এবং পরে ১৯৮৪ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত আছেন। বর্তমানে মহাব্যবস্থাপক ড. মুস্তাফা মজিদ ১৯৫৫ সালের ১৪ই এপ্রিল পটুয়াখালী জেলার সুবিদখালীতে জন্মগ্রহণ করেন । ভ্রমণ করেছেন ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, সুইডেন, জার্মানী, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ড।
Such an incredibly complex story! I had to buy it because there was a waiting list of 30+ at the local library for this book. Thrilled that I made the purchase
I read this book shortly after I got it and didn't just put it on my TBR shelf mainly because I saw it on Reese Witherspoon's bookclub September read. It was one of the best books I've read this year, and reminded me some of Kristen Hannah's The Great Alone.