একটি দেশের সংসদ রাষ্ট্রের দর্পণ। সংসদের অভ্যন্তরে-হওয়া আলোচনা ভাষণ মতান্তর ঐকমত্য ক্ষোভ আশা আশঙ্কা এবং সিদ্ধান্তগুলির মধ্যেই প্রকৃত বসবাস সেই দেশটির। সংসদ প্রতিভাত করে রাষ্ট্রের চরিত্র মনোভাব ও আচরণকে। সে দেশ একমাত্রিক না কি বহুত্ববাদী? স্বৈরাচারী, নাকি গণতান্ত্রিক? সংসদে শাসক ও বিরোধী যত বেশি। পরস্পরকে সম্মান করবে, গ্রহণ করবে, ভিন্নমত সহিষ্ণুতা দেখাবে, সেই রাষ্ট্র ততই পরিণত, আধুনিক পরিচয়ে চিহ্নিত হবে।ভারতের স্বাধীনতাপ্রাপ্তির ঠিক এক বছর আগে শুরু হয়েছিল রাষ্ট্রের চালিকাশক্তি সংবিধান রচনার কাজ। তার পরই স্বাধীনতা ও দেশভাগ। মুক্তির উচ্ছ্বাসেই মিশে গিয়েছিল দাঙ্গার রক্ত আর স্বভূমি হারানোর হাহাকার। আনন্দ ও বেদনার যুগলবন্দির শঙ্খধ্বনি ও ক্রন্দনরোলের মধ্যে জন্ম হয়েছিল নতুন ভারতের। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত সময়সীমায় সংসদের অন্দরে কী ভাবে উচ্চারিত হয়েছিল মানুষের হাসিকান্নার দিনলিপি, কেমন ছিল ভারত নির্মাণ পদক্ষেপের স্তর।সংসদের একঝাক ঐতিহাসিক বক্তৃতা এবং সেই অবিস্মরণীয় ভাষণের প্রেক্ষাপটে দেশ ও সীমান্তে ঘটে-চলা অস্থির যাপনের বিবরণ বয়ন হল। তার জন্যেই হয়তো গ্রন্থখানি হয়ে উঠল ক্রান্তিকালের এক মূল্যবান ডায়েরি।
Specification
Titel: | ঐতিহাসিক সংসদ-বক্তৃতা |
---|---|
Author | সমৃদ্ধ দত্ত |
Publication: | গাঙচিল |
ISBN: | 978-93-88380-70-6 |
Edition: | 2020 |
Number of Pages: | 303 |
Country: | India |
Language: | Bangla - বাংলা |