মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাসে ‘বারো ভূঁইয়া’ একটি বহুল উচ্চারিত নাম। যাঁরাই বাংলার ইতিহাস লিখেছেন, তাঁরা সকলেই বারো ভূঁইয়াদের সম্পর্কে একটি স্বতন্ত্র অধ্যায় রচনা করেছেন। তাঁদের নিয়ে দু-চারখানা স্বতন্ত্র গ্রন্থও রচিত হয়েছে, কিন্তু সেগুলি এখন দুষ্প্রাপ্য হয়ে 'পিডিএফ'-এর আশ্রয় গ্রহণ করেছে। অথচ বারো ভূঁইয়াদের ইতিহাস কোনভাবেই পিডিএফ-এ আশ্রয় নেওয়ার ইতিহাস নয়। মুঘল-দ্রোহী ভূঁইয়াগণের বীরত্বগাথা সেকাল-একাল সবকালের পাঠকের পড়ার উপযোগী বিষয়। আলোচ্য গ্রন্থে বিদগ্ধ লেখক আমাদের সেকথাটাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।কি আছে এই গ্রন্থে? লেখকের উক্তি- "আজ থেকে পাঁচশ বছর পূর্বে বাংলার মাটিতে বারো ভূঁইয়াদের অভ্যুত্থান ঘটে। আমাদের দেশে তাঁরা শুধু বারোজন ভূঁইয়া ছিলেন না, বারোটি স্বপ্ন ছিলেন;বারোটি টুকরো টুকরো স্বপ্ন, স্বাধীনতার স্বপ্ন। ভূঁইয়াগণ সেই স্বপ্নের প্রতীক ছিলেন।” বাঙালির চেতনায় তখন যে দ্রোহভাবের উন্মেষ ঘটেছিল, পরবর্তীকালের ইতিহাসের পাতায় তাই বারবার দেখা গেছে। যুগের চাহিদা অনুযায়ী ভূঁইয়াদের নিয়ে মিথও রচিত হয়েছে, বাংলা সাহিত্যে তার প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। এই সূত্রে ঐতিহাসিক মির্জা নাথানের ‘বাহারিস্তান-ই-গায়বির পাশাপাশি বঙ্কিমচন্দ্রের ‘দুর্গেশনন্দিনী' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'বউ ঠাকুরানীর হাট', ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদের ‘বঙ্গে প্রতাপ-আদিত্য', রমেশ গোস্বামীর ‘কেদার রায়’, কানাই লাল শীলের ‘বীর হাম্বীর, পূর্ববঙ্গ গীতিকার ‘দেওয়ান ঈশা খাঁ মসনদালি' প্রভৃতি গ্রন্থ-গীতিকা সমান গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়েছে। লেখক গ্রন্থে ইতিহাস ও সাহিত্য উভয় উৎস ব্যবহার করে ভূঁইয়াদের প্রকৃত ও সত্য রূপ উদ্ঘাটন করেছেন। নিঃসন্দেহে এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী গ্রন্থ, যা সকল শ্রেণির পাঠকের নজর কাড়বে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
Specification
Titel: | বাংলার বিদ্রোহী বারো ভূঁইয়া: ইতিহাস ও মিথ |
---|---|
Author | ওয়াকিল আহমদ |
Publication: | বিশ্ববঙ্গীয় পাবলিকেশন |
ISBN: | 978-93-93392-04-6 |
Edition: | 1st print,2022 |
Number of Pages: | 232 |
Country: | India |
Language: | Bangla - বাংলা |