জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী হয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর এমদাদুল ইসলাম কঙ্গোতে যান ২০০৫ সালে। বিস্ময়াভিভূত হয়ে তিনি দেখেন সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য । গহিন অরণ্য। বিচিত্র বর্ণিল পাখি। বিশাল বিস্তৃত জলরাশির লেক টাঙ্গানিকা। কিন্তু সৌন্দর্যে ভরপুর এই কঙ্গো বছরের পর বছর নৃশংস গোত্রীয় হানাহানিতে মত্ত। মানুষখেকো লেন্দু জনগোষ্ঠীর গেরিলারা এক চোরাগোপ্তা হামলায় নেপালি শান্তিরক্ষী বাহিনীর এক সদস্যকে হত্যা এবং সাত সদস্যকে জিম্মি করে। জিম্মিদের উদ্ধার অভিযানে লেখক মেজর এমদাদুল ইসলাম নিজেকে নিয়োজিত করেন । কোনো যুদ্ধ ও খুনোখুনি ছাড়াই এই ব্যাতিক্রমী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন । দীর্ঘ ৪৫ দিন তিনি কঙ্গোর গহিন অরণ্যে জীবন বাজি রেখে কাজ করে গেছেন । জিম্মিদের উদ্ধার করে লেন্দু জনগোষ্ঠীর গেরিলাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন । সেই রোমহর্ষক উদ্ধার অভিযানের বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে এ বইয়ে।
মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম জন্ম চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার সুলতানপুর গ্রামে। অর্থনীতিতে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর। ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। মিয়ানমারে চার বছর (১৯৯৯-২০০২) দায়িত্ব পালন করেন
বাংলাদেশ সরকারের কনস্যুলেট প্রধান হিসেবে। কাছ থেকে দেখেছেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও রোহিঙ্গাদের দুর্দশা। এই অভিজ্ঞতার সুবাদে তিনি মিয়ানমার বিশেষ করে রোহিঙ্গা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে স্বীকৃত। পরে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোয় শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য হিসেবে যোগ দেন।
সেখানে লেন্দু ইনসার্জেন্ট গ্রূপের হাতে জিম্মি হিসেবে আটক সাতজন নেপালি সৈন্যের উদ্ধার অভিযানে ব্যতিক্রমী, বীরোচিত ভূমিকার জন্য তিনি জাতিসংঘ ফোর্স কমান্ডারের সর্বোচ্চ প্রশংসাপত্র পান। একজন শৌখিন গফফার। প্রকাশিত বই খরস্নায়ু (২০১৯)।
Such an incredibly complex story! I had to buy it because there was a waiting list of 30+ at the local library for this book. Thrilled that I made the purchase
I read this book shortly after I got it and didn't just put it on my TBR shelf mainly because I saw it on Reese Witherspoon's bookclub September read. It was one of the best books I've read this year, and reminded me some of Kristen Hannah's The Great Alone.