বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কয়েকটি বক্তৃতা ও প্রবন্ধের সংকলন'পথের বাধা সরিয়ে নিন, মানুষকে এগুতে দিন'বাংলাদেশের সমস্যাবলী নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। আলোচনা থেমেও যায়নি। বহুল আলোচিত বিষয় নিয়ে বলতে গিয়েও প্রফেসর ইউনূসের বক্তব্য অনেক কথার মধ্যে হারিয়ে যায়নি। অনেকে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে এমন কোন শিক্ষিত ব্যক্তি নেই যিনি প্রফেসর ইউনূসের সাম্প্রতিক বক্তৃতাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়েননি। প্রফেসর ইউনুস কঠিন কথাগুলি এত সোজা করে বলেন যে কারো বুঝতে দেরী হয় না। তাঁর সঙ্গে একমত হতে কারো দ্বিধা হয় না।তাঁর বক্তৃতা শুনে কিংবা পড়ে দেশ ও সমাজ সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন অনেকে। বাংলাদেশের বহু মানুষ তাঁর বক্তব্যে নিজেদের মনের কথার প্রতিধ্বনি শুনতে পেয়েছেন স্পষ্টভাবে।ডঃ ইউনূসের বক্তব্যের প্রধানতম বৈশিষ্ট্য হলো এর স্পষ্টতা। পান্ডিত্যের প্রলেপের তলায় কোন কথা কোথাও অচেনা হয়ে যায়নি, ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যায়নি। তাঁর কথা শুনলেই বোঝা যায় তিনি কথাবিলাসী বুদ্ধিজীবী বা লেখক নন। তিনি কাজের মানুষ। তাঁর ভাষা কাজের মানুষের ভাষা। তিনি কাজের মাধ্যমেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কাজের মাধ্যমেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কাজের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন যে প্রচলিত বৃত্তসমূহের বাইরে গিয়েও মানুষের কল্যাণ সম্ভব।গ্রামীণ ব্যাংকের উদ্ভব ও বিস্তার সম্পর্কে তাঁর একটি প্রবন্ধ এই বইয়ের একটা মূল্যবান সংযোজন।এই বই বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে অনেক মানুষকে নতুন ও ব্যতিক্রমী ভাবনায় অনুপ্রাণিত করবে।
(জন্ম: ২৮ জুন, ১৯৪০) একজন সামাজিক উদ্যোক্তা, সমাজসেবক ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। তিনি ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রেরণার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং ২০১০ সালে, কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেলসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তিনি সেই সাতজন ব্যক্তির একজন যারা নোবেল শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল পেয়েছেন। ২০১২ সালে, তিনি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হন এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি তার অর্থকর্ম সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ করেছিলেন। তিনি গ্রামীণ আমেরিকা এবং গ্রামীণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বোর্ড সদস্য, যা ক্ষুদ্রঋণকে সহায়তা করে থাকে। তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০২২ সালে তিনি উন্নয়ন আন্দোলনের জন্য ইস্পোর্টস তৈরি করতে গ্লোবাল ইস্পোর্টস ফেডারেশনের সাথে অংশীদারিত্ব করেছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট অসহযোগ আন্দোলন এর ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করার পরে শিক্ষার্থীদের দাবির ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি ইউনূসকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালনের জন্য মনোনীত করেছিলেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসাবে দেখা শ্রম কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে পরের দিন আপিলে তার খালাস তাকে দেশে ফিরে আসতে এবং নিয়োগকে সহজতর করেছিল। তিনি ২০২৪ সালের ৮ই আগস্ট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিম তালিকায় তাঁর নাম উঠে আসে। তিনি তালিকায় শীর্ষ ৫০ ব্যক্তিত্বের মধ্যে রয়েছেন।
Such an incredibly complex story! I had to buy it because there was a waiting list of 30+ at the local library for this book. Thrilled that I made the purchase
I read this book shortly after I got it and didn't just put it on my TBR shelf mainly because I saw it on Reese Witherspoon's bookclub September read. It was one of the best books I've read this year, and reminded me some of Kristen Hannah's The Great Alone.