জীবন বন যে উপন্যাসের থেকেও কৌতূহলকর, নেতাজী-পরিবারের অন্যতমা হয়ে-ওঠা কৃষ্ণা বসুর এই স্মৃতিকথনটি তারই নতুনতর এক দৃষ্টান্ত। কয়েকটি খণ্ড-খণ্ড স্মৃতিচিত্রের মধ্য দিয়ে এ গ্রন্থে লেখিকা তুলে ধরেছেন আমাদের দেশের কুড়ি, ত্রিশ ও চল্লিশ দশকের চলমান সমাজচিত্রের অতি-কৌতূহলকর কিছু অংশ, যে চিত্রের পরিসমাপ্তি ১৯৪৭ সালের দেশবিভাগ ও স্বাধীনতা-প্রাপ্তির উত্তাল মুহূর্তে। গুরুত্বের নিরিখে এই বইতে বিধৃত সময়সীমা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ঐতিহাসিক নানা ঘটনা-পরম্পরার মধ্যে রয়েছে যুদ্ধবিগ্রহ, মন্বন্তর, দাঙ্গা, দেশভাগ, স্বাধীনতা। সাধারণ এক বাঙালি মেয়ের চোখে-দেখা সেই অসাধারণ সময়ের প্রাণস্পন্দনই যেন ফুটে উঠেছে এ বইয়ের ছত্রে ছত্রে। এ বইতেই লেখিকা এক জায়গায় মন্তব্য করেছেন যে, ঘটনার আবর্তে জড়িয়ে পড়লে অনেক সময় সমস্ত কিছু স্বচ্ছভাবে দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্তু এ বই প্রমাণ করল, একান্তেই অনেক কিছু দেখেছিলেন তিনি। ঘটনাচক্রের বাইরে দাঁড়িয়েও। সেই অমূল্য সঞ্চয়ই এই গ্রন্থে উজাড় করে দিলেন লেখিকা।
কৃষ্ণা বসু ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৩০-এ ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হচ্ছেন চারু সি. চৌধুরী জন্ম(কিশোরগঞ্জ) এবং মাতা ছায়া দেবী চৌধুরানী। তার পিতা ছিলেন সাংবিধানিক অধ্যয়ন বিশেষজ্ঞ এবং পশ্চিম বঙ্গীয় আইন পরিষদের সচিব। ১৯৫৫ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি শিশির কুমার বসুকে বিয়ে করেন এবং তাদের দুই পুত্র, সুমন্ত্র বসু, সুগত বসু এবং এক কন্যা শর্মিলা বসু। শিশির বসু শরৎ চন্দ্র বসুর পুত্র, সুভাষ চন্দ্র বসুর বড় ভাই।
তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যের উপর বি.এ ও এম.এ ডিগ্রী লাভ করেন। ভাটখন্দ সঙ্গীত ইনস্টিটিউট, লখনউ, উত্তর প্রদেশ থেকে সম্মানিত সঙ্গীত-বিশারদ ডিগ্রী লাভ করেন
Such an incredibly complex story! I had to buy it because there was a waiting list of 30+ at the local library for this book. Thrilled that I made the purchase
I read this book shortly after I got it and didn't just put it on my TBR shelf mainly because I saw it on Reese Witherspoon's bookclub September read. It was one of the best books I've read this year, and reminded me some of Kristen Hannah's The Great Alone.