ঢাকার আদি স্থানীয় বাসিন্দাদের নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উপাদান হল পৃথিবী বিখ্যাত মসলিন। বর্তমানে প্রচলিত জামদানি বুটি নকশার সুতি শাড়ি মূলত মসলিন জামদানি বুটি নকশার অনুকরণে আধুনিক সংস্করণ মাত্র। ঢাকাইয়াদের নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের প্রধানতম উপাদানের প্রতীক হিসেবে 'হেকীম হাবীবুর রাহমানের ঢাকা পাচাস বারাস পালে' গ্রন্থের অত্র প্রচ্ছদে জামদানি বুটি শাড়ির পটভূমিতে বুটি নক্শা ব্যবহৃত হয়েছে। 'ঢাকা পাচাস বারাস পাহলে' গ্রন্থটির রচনাকাল হল ১৯৪৫ সাল। অর্থ হল ঢাকা পঞ্চাশ বছর পূর্বে অর্থাৎ ১৮৯৫ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত মোট পঞ্চাশ বছরের ঢাকা বিষয়ক বর্ণনা। উল্লেখিত সময়কালের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মধ্যে ১৯০১ সালে ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু, ১৯০৫ সালে নওয়াব সলিমুল্লাহর স্বপ্ন রাজ্য 'পূর্ববাংলা আসাম' নামে নতুন প্রদেশ গঠন, ১৯০৬ সালে ঢাকায় নিখিল ভারত মোহামেডান শিক্ষা সম্মেলন ও নিখিল ভারত মুসলিম লীগ গঠন, ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ এবং ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হল অন্যতম প্রধান ঘটনা প্রবাহ।এগুলোর মধ্যে ১৯০৫ সালে বিভাজনকৃত বৃহত্তর বাংলার নতুন ভৌগোলিক সীমানা নিয়ে আসামসহ নতুন প্রদেশের রাজধানী ঢাকায় স্থাপন ছিল সবচেয়ে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন গুরুত্ববহনকারী ঘটনা। বৃহত্তর সিলেট জেলাসহ পূর্ববাংলার তৎকালীন ভৌগোলিক সীমানা নিয়েই আজকের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। সেই ঐতিহাসিক ঘটনার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের প্রতীক হিসেবে ১৯০৫ সালে নির্মিত নতুন প্রদেশের গভর্নরের বাসভবনের আলোকচিত্র প্রচ্ছদে ব্যবহৃত হয়েছে। যা বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ ট্রাইবুনাল ভবন নামে পরিচিত। নৃতাত্ত্বিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক প্রতীকী নকশার নন্দনতাত্ত্বিক প্রয়োগে সমন্বিত নকশার প্রচ্ছদটি ইংরেজ আমলের ঢাকার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
Specification
Titel: | হেকীম হাবীবুর রাহমানের ঢাকা পাচাস বারাস পাহলে |
---|---|
Author | হাশেম সূফী |
Publication: | স্টুডেন্ট ওয়েজ |
ISBN: | 978-984-94590-0-2 |
Edition: | 2022 |
Number of Pages: | 208 |
Country: | Bangladesh |
Language: | Bangla - বাংলা |