মীজানুর রহমান
মীজানুর রহমানের জন্ম ১৩৩৭ বঙ্গাব্দের ৬ ফালগুন (১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ১৯ ফেব্রুয়ারি) বুধবার, বেলা চারটায়, এই উপমহাদেশের শিক্ষাদীক্ষায় ও বরেণ্য গুণীজনসমৃদ্ধ অভ্যগ্র জনপদ বিক্রমপুরের চতুষ্পাঠী তথা টোল-অধ্যুষিত ইছামতী-তীরস্থ নিভৃত বামুনপল্লী টোল-বাসাইলের এক উদার ধর্মশীল সুফি ভাবাপন্ন জ্ঞানপিপাসু পীরালী পীর পরিবারে। এঁদের যৌথ পদবি খন্দকার ও মুনশি, অর্থাৎ মূলত কর্মকর্তা ও শিক্ষকতাই এঁদের পথচলার কড়ি। সরকারি পদ থেকে অবসরপ্রাপ্ত একদা বড়লাট লর্ড কার্জনের (১৮৫৯-১৯২৫) স্বল্পকালীন খাশ মুনশি ওঁর দাদু খন্দকার ফজলুল করিমের (১৮৬১-১৯৪১) তাবে রয়েছে অবসরোত্তর ২১ বছরের শিক্ষকতার রেকর্ড। কিন্তু মীজানুর রহমানের কোনো রেকর্ড নেই এক ওই ১৪ বছর বয়সে সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়া ছাড়া। মীজানুর রহমান জীবদ্দশায় নিজের লেখা তিনটি বই প্রকাশ করেছেন। কমলালয়া কলকাতা ও কৃষ্ণ ষোলোই সম্পর্কে তাঁর পাঠকদের ধারণা আছে। অন্য বইটির নাম রক্তপিছল কাশ্মীর, এটিই তাঁর প্রথম প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ, ঢাকার দিদার পাবলিশিং হাউজ থেকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬৬ সালে। তিনি বিভিন্ন সময়ে ঢাকার বিভিন্ন পত্রিকায় অনেক বিষয়ে অনেক নিবন্ধ-প্রবন্ধ লিখেছেন। ঢাকা বিষয়ক লেখাগুলো একত্র করে ঢাকা পুরাণ নামে একটি বই প্রকাশ করা হয়েছে তাঁর মৃত্যুর পরে। বইটির ভূমিকা লিখেছেন তাঁর আর্ট স্কুলের অন্যতম সহপাঠী ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী। সেই ভূমিকাটি এই গ্রন্থে সংযুক্ত আছে। তাঁর রচনাসমগ্রের এই প্রথম খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হলো তিনটি বই: কমলালয়া কলকাতা, কৃষ্ণ ষোলই ও ঢাকা পুরাণ।