হিমালয়! পৃথিবীর বুকে আশ্চর্য চিহ্নের মতো দাঁড়িয়ে থাকা এই পর্বতমালার মুখোমুখি হলে একইসঙ্গে শারীরিক ক্ষুদ্রতা ও মানসিক বিশালতার অনুভূতি জাগে। সেই হিমালয়ের এভারেস্ট বেজ ক্যাম্পের (ইবিসি) দিকে একাগ্রচিত্তে এগিয়ে যাওয়া এক অভিযাত্রীর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার স্বতঃস্ফূর্ত বয়ান এই বই। প্রাঞ্জল ভাষার সঙ্গে সূক্ষ্ম রসবোধের মিশেলে বিবৃত এই ভ্রমণকাহিনিতে হিমালয়ের পথে পথে লেখকের পর্যবেক্ষণ আর বর্ণনা পাঠকের চোখে জীবন্ত ও দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। ফলে আমরা একাত্ম হয়ে অনুভব করতে পারি বইটির পাতায় পাতায় মূর্ত হয়ে ওঠা অপার্থিব আনন্দ, রোমাঞ্চ ও বিস্ময়গুলোকে। উপলব্ধি করি প্রকৃতির অপার রহস্যময়তা আর অসহনীয় সৌন্দর্যের সামনে মানুষের বিহ্বলতাকে। লক্ষ্যের প্রতি অবিচল থাকলে হিমালয়যাত্রার ক্ষেত্রে ৬৩ বছর বয়সও যে প্রতিবন্ধক হতে পারে না, বইটির লেখক ইফতেখারুল ইসলাম এর জলজ্যান্ত উদাহরণ। তাঁর একনিষ্ঠতা, একাগ্রতা পাঠককে উদ্দীপ্ত ও প্রাণিত করে এবং প্রলুব্ধ করে এভারেস্টের প্রতি। বইটি পাঠ করতে করতে লেখকের মতো আমাদেরও স্বর্গীয় দৃশ্যের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে নিতে সাধ হয়। নবীন বালকের মতো বিস্ময়ে পাহাড়কে আলিঙ্গন করতে ইচ্ছে করে। বলতে ইচ্ছে করে, ভালোবাসি। তেষট্টি বছর বয়সে হিমালয়ে ট্রেক করবেন বলে স্থির করে তিন মাসে নিজেকে তার জন্য তৈরি করেছেন ইফতেখারুল ইসলাম। নেপালের লুকলা থেকে এভারেস্ট বেজ ক্যাম্প পর্যন্ত পায়ে হেঁটে গিয়েছেন। দু’সপ্তাহের ট্রেকিংয়ে দেখেছেন হিমালয়ের অতুলনীয় সৌন্দর্য। এভারেস্ট বেজ ক্যাম্পে ট্রেক শেষ করে তিনি লিখেছেন: ‘এখন মৃত্যু হলে আমি উজ্জ্বল সব স্মৃতি বুকে নিয়ে মরবো, অপূর্ণ স্বপ্ন নিয়ে নয়। আমার স্মৃতিতে অমর হয়ে রইবে হিমালয় আর মার্চ ২০২০। মার্চ ২০২০, যখন সারা পৃথিবী থমকে দাঁড়িয়েছিল গভীর অসুখ বুকে নিয়ে, ঠিক সে সময় একজন মানুষ পুরোদস্তুর ট্রেকারের সাজে, ব্যাকপ্যাক পিঠে সবুজ অরণ্য, তুষারিত প্রান্তর, নদী, পাথর, হিমবাহ ও পাহাড় পেরিয়ে অবিচলভাবে হেঁটে গিয়েছিল হিমালয়ে, এভারেস্টের দিকে।’ এই বই সেই হার-না-মানা মানুষের হিমালয় দেখার কাহিনি।
Specification
Titel: | যেখানে এভারেস্ট |
---|---|
Author | ইফতেখারুল ইসলাম |
Publication: | বাতিঘর ঢাকা |
ISBN: | 978-984-95583-3-0 |
Edition: | 2nd print, 2022 |
Number of Pages: | 141 |
Country: | Bangladesh |
Language: | Bangla - বাংলা |