পনের বছর আগের কথা। ২০০১ সাল। আমরা তখন অনেক সেশন জটে জট পাকিয়ে অবশেষে চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। পাস করে আর কিছুদিন পরে উচ্চশিক্ষা নিতে বিদেশ যাব এমন স্বপ্ন চোখে মুখে। বুয়েটের স্ট্যান্ডার্ড নিয়ম আর ঐতিহ্য (1) মেনে, মনে মনে এক পা প্রায় আমেরিকার পথে। টোফেল দেয়া শেষ, জিআরই নিয়ে বসব। এমন সময় আল কায়েদার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলা (কেউ কেউ বলে, আমেরিকানদের নিজেদের পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা)।আমরা যখন পাস করি, তখন ভিসা পাওয়া তো দূরের কথা, আমেরিকার নাম মুখে আনা নিষেধ। ভাল জিপিএ, স্কলারশিপ দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না এমন এক দুঃসময়।উপায়ন্তর না দেখে কোন কিছু না জেনে, প্রায় কোন জার্মান ভাষা না শিখে, ২০০২ সালের এপ্রিল মাসের ৮ তারিখ চলে আসি জার্মানিতে।অনেক বছর শেষে পিছন ফিরে তাকিয়ে মনে হয়, জীবন যদি আবার শুরু করতে পারতাম, আর ৯১১ যদি না ঘটতো; আর যদি জানা থাকতো জার্মানিতে কি কি সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে, তাহলে চোখ বুজে আমেরিকা কানাডা বাদ দিয়ে জার্মানিতেই আসতাম।সেই প্রথম বছরগুলির সীমাহীন প্রতিকূলতা আর সম্পূর্ণ নতুন ভাষা ও সংস্কৃতি শিখে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা, এইসব অভিজ্ঞতার আলো আমাদের নতুন প্রজন্মকে দিয়ে যাওয়া উচিত এমন উপলব্ধি থেকে লিখতে বসা।কোনকালেই লেখক ছিলাম না। আমার সহধর্মিণী বলেছিল, ও নাকি আমার চিঠি পড়ে প্রেমে পড়েছিল। তাঁর চাপাচাপিতে পড়ে এইসব সামান্য লেখালেখি। কারো ভাল লাগলে এই সামান্য প্রচেষ্টা সার্থক মনে করব।এই লেখাগুলি তাদের জন্য, যারা অনেক বাধা আর প্রতিকূলতার মুখেও স্বপ্ন দেখতে ভুলে না নিজের জন্য এবং নিজের দেশেরজন্য।বাংলাদেশ নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শেখালো যারা, সেই শাহবাগের নির্ঘুম গণজনতার জন্য উৎসর্গিত থাকল এই লেখার প্রতিটি অক্ষর।আদনান সাদেক
Specification
Titel: | জার্মানির ডায়েরি |
---|---|
Author | আদনান সাদেক |
Publication: | প্রগেসিভ প্রিন্টার্স প্রা: লিমিটেড |
Edition: | 2017 |
Number of Pages: | 106 |
Country: | Bangladesh |
Language: | Bangla - বাংলা |