মহাকাশ ও মহাবিশ্ব নিয়ে যে বিজ্ঞান তা অনেক দিক থেকেই অনন্য। মহাবিশ্বের গঠন ও উদ্ভব, এর বিস্তার ও বিকাশ নিয়ে প্রাচীনতম মানুষও ভেবেছে। বিবর্তনের ধারায় মানুষ যখন চেতনার সেই স্তরে উপনীত হয়েছে যে মেঘমুক্ত রাতের আকাশ দেখে সে বিস্ময় অনুভব করেছে, তখন থেকেই সূচনা এই বিজ্ঞানের। গ্রিকরা এর নাম দিয়েছিল কসমোলজি। কসমস হচ্ছে সমগ্র বিশ্বের বিন্যাস নিয়ে। লগস হচ্ছে বক্তৃতা বা বিবৃতি। মহাকাশবিজ্ঞান একদিক থেকে প্রাচীনতম বিজ্ঞান। কারণ, বুদ্ধিলাভের পর থেকেই মানুষ প্রশ্ন করেছে আকাশের ঐ উজ্জ্বল বস্তুগুলো কী? কোথা থেকে এদের উদ্ভব? কী এদের সুশৃঙ্খল গতি নিয়ন্ত্রণ করে? অন্যদিকে গ্যালাক্সিসমূহের বিন্যাস ও দলবদ্ধতা ব্যাখ্যায় কসমিক স্ট্রিঙের ধারণা প্রমাণ করে মহাকাশকে উপলব্ধি করতে প্রয়োজন আধুনিকতম বিজ্ঞান ৷স্বভাবতই আদি মানুষদের অনুসন্ধিৎসা মিটাবার বিজ্ঞানসম্মত পথ তখনো জানা ছিল না। নানা অনুমান ও কল্পনার আশ্রয় তাঁদের নিতে হয়েছে। সেইসঙ্গে খালি চোখে দেখা মহাকাশের জ্যোতিষ্কগুলোর পর্যায়ক্রমিক গতি ও বিন্যাস তাঁরা পর্যবেক্ষণ করেছেন। পরিদৃশ্যমান আকাশের নানা ঘটনা, যেমন— চাঁদের শাপরিবর্তন, সূর্যগ্রহণ, উল্কাপাত ইত্যাদি তাঁদের মনে কখনো বিস্ময়, কখনো আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। নানারকম কল্প-গল্প ও অলৌকিক কাহিনিরও তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন এসব ঘটনার ব্যাখ্যারূপে, তবু একে বিজ্ঞানের সূচনা বলতে চাই। কারণ, বিস্ময়ানুভূতি ও অনুসন্ধিৎসা এবং ঘটনার ব্যাখ্যা অনুসন্ধান হচ্ছে বিজ্ঞানের প্রাথমিক ভিত্তি।
Specification
Titel: | মহাকাশ |
---|---|
Author | ড. আলী আসগর |
Publication: | আদিত্য প্রকাশ |
ISBN: | 9789848117019 |
Edition: | ১ম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০২০ |
Number of Pages: | 160 |
Country: | Bangladesh |
Language: | Bangla - বাংলা |