মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ুর রহমান রেন্টু
মতিউর রহমান রেন্টু বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধা এবং বিতর্কিত লেখক। তিনি "আমার ফাঁসি চাই" গ্রন্থের জন্য ব্যাপকভাবে আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন।রেন্টু গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের আব্দুল বারীর পুত্র ছিলেন। তিনি আনুমানিক ১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করেছেন এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছেন। তাঁর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অবদান স্বীকৃত, যা সরকারি নথিপত্রে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্তি এবং ভারত সরকারের দেওয়া বিরল সনদের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়। তিনি ১৯৮১ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাথে ঘনিষ্ঠ কর্মসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন এবং তাঁর সহকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে আমার ফাঁসি চাই বইটি প্রকাশিত হয়। এরপর বইটি আওয়ামী লীগ সরকার নিষিদ্ধ করে। তাঁর উপর সংঘটিত হয় হত্যাচেষ্টা। ২০০০ সালের ২০ জুন, তাঁর বাড়ির সামনে, বিকেল সাড়ে ৩ টায় ৯ নম্বর বি কে দাস রোডে, তাঁকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। এই হামলায় তাঁর শরীরে চারটি গুলি বিদ্ধ হয়, কিন্তু অলৌকিকভাবে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। এই ঘটনা তাঁর জীবনে এক মোড় ঘুরিয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে তিনি "অন্তরালের হত্যাকারী প্রধানমন্ত্রী" নামে আরেকটি বই লেখেন, যেখানে তিনি এই হত্যাচেষ্টার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। তার জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন এই বইটিতে। তিনি ২০০৩ সালে তাঁর স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। এক বছর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে থাকার পর তিনি প্যারিসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।