বুড়িগঙ্গা নদী ও ঢাকা নগরীবাংলাদেশের হাইকোর্ট ২৫ জুন ২০০৯ বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকার নদী ও জলাভূমির সীমানা ১৯১৩ সালে করা Cadastral Survey (CS) ম্যাপ অনুযায়ী নির্ধারণ করার আদেশ দিয়েছেন, কারণ সিএস ম্যাপে নদী ও জলাভূমির ডানান্তিক পাড়সহ প্রকৃত সীমানা খাস জমি হিসেবে চিহ্নিত করা আছে। কিন্তু রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ঢাকা মহানগরীর 'ডিটেইলড এরিয়া প্লান' ১৯৮৩ সালের Revised Survey (RS) ম্যাপ অনুযায়ী সম্পাদন করেছে।সারা বাংলাদেশে Revised Survey (RS) ম্যাপ অনুযায়ী নদীসমূহ ও জলাভূমির অনেক খাস জমি রেকর্ড জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যক্তি মালিকানায় চলে গেছে। এই সত্য সত্ত্বেও পরিবেশবাদীরা রাজউকের “ডিটেইলড এরিয়া প্লান" জনান্তিক বাস্তবায়নের দাবীতে সোচ্চার হলে গাজীপুর, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকরা নদীর সীমানা আরএস ম্যাপ অনুযায়ীই নির্ধারণ করার উদ্যোগ নেন। এভাবে পরিবেশবাদীরাই আন্দোলন করে হাইকোর্টের আদেশকে লঙ্ঘন করার ক্ষেত্র তৈরী করে দেন।গাজীপুর, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকরা হাইকোর্টের নির্দেশে ঢাকা ও এর আশেপাশের নদীগুলির সীমানা পিলার লাগাতে আরম্ভ করলে তারা এই পিলারগুলি নদীর শুকনা মৌসুমের তীর বরাবর পুঁতে দেন। এর ফলে নদীগুলির খাস জমিভুক্ত পাড় বেদখল হবার আশঙ্কা দেখা দেয়। এমনিতেই ঢাকার আশেপাশের নদীগুলির তীর অনেকাংশে বালু ব্যবসায়ী, মার্কেট এবং ইটের ভাটায় দখল হয়ে আছে। তুরাগ নদীতে গাজীপুরের ডিসির পিলার পোতা নিয়ে পরিবেশবাদীরা হৈচৈ করলে এবং পত্রিকার রিপোর্টের ফলে (দি ডেইলী স্টার ১২.০৪.২০১১) ব্যাপারটি সকলের জানাজানি হয়ে যায়।জেলা প্রশাসকদের নেয়া পদক্ষেপের পক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলি থেকে এরপর সাফাই গাওয়া শুরু হয়। সংবাদ মাধ্যমে প্রচারণাও চলতে থাকে যে, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিএস ও আরএস ম্যাপ-এর ভিত্তিতেই সীমানা পিলারগুলি পোতা হচ্ছে। এসব ছিলো স্ববিরোধী বক্তব্য। এরপর বহু বছর গড়িয়ে গেছে, এর বাস্তব সুরাহা এখন বহুদূর বলে মনে হয়। সারা দেশের অন্যান্য নদীগুলির কথা থাক, খোদ রাজধানীর বুকে বুড়িগঙ্গা নদীকেই দূষণ ও দখল থেকে বাঁচানোর জন্য সরকারের তরফ থেকে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই ।
Specification
Titel: | বাংলাদেশের নদনদী |
---|---|
Author | ম. ইনামুল হক |
Publication: | জনান্তিক |
ISBN: | 984-781-197-X |
Edition: | 1st edition,2017 |
Number of Pages: | 254 |
Country: | Bangladesh |
Language: | Bangla - বাংলা |