উইলিয়াম শেকসপিয়র জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৫৬৪ সন, যা আধুনিক সভ্যতার মাইলসেন্টান হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। কিংবা বলা যায় সম্রাট আকবরের কথা। ভারত সম্রাট আকবর দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন ১৫৫৬ খৃষ্টাব্দে। গড়ে তুলেছিলেন এক বিশাল ভারতীয় সাম্রাজ্য। সে-সব বিষয় নিয়ে আবুল ফজল, মৌলানা বাদাউনী কিংবা নিজামউদ্দিন সহ সে যুগের অনেক পণ্ডিতগণ বিস্তর লিখে গেছেন। কিন্তু শেকসপিয়রের জন্যের আরও তিনশ' বছর আগের কথা কিংবা সম্রাট আকবরের সিংহাসনে আরোহণের প্রায় তিনশ বছর আগের কথা, যখন কাওয়ালী সঙ্গীতের জনক (তবলারও জনক) কবি আমীর খসরু শশরীরে বিচরণ করতেন দিল্লীতে, ভারত সম্রাটের সমান্তরাল ক্ষমতা নিয়ে দিল্লীতেই ছিলেন আধুাতিক নেতা নিজামউদ্দিন আওলিয়া, তখন কেমন ছিল আমাদের এই ভূ-খণ্ডের অবস্থা, কেমন ছিল এখানকার মানুষের জীবন? বাদশাহ মুহম্মদ বিন তুগলকের শাসনামলের বর্ণনায় জিয়াউদ্দিন বারাণী লিখেছেন, “দিল্লীতে প্রচুর ফুলের আবাদ হইত।" সে সময়টা ছিল বর্বর মঙ্গোলদের আক্রমণ এবং ধ্বংসযজ্ঞের যুগ। মঙ্গোল আক্রমণে বাগদাদ ধ্বংস হলেও বারাণীর বর্ণনায় আমরা দেখি ভারতীয় সম্রাটগণ কিভাবে মঙ্গোলদের প্রতিহত করেছেন। সে কালের প্রায় একশত বছর সময়ের ইতিহাসের মূল্যবান প্রাথমিক উৎস, অনেক ক্ষেত্রে একমাত্র উৎস হচ্ছে জিয়াউদ্দিন বরাণীর তারিখ-ই- ফিরুজশাহী গ্রন্থটি। আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কেও অনেক মূল্যবান তথ্য রয়েছে বইটিতে। বারাণী তাঁর নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা (তিনি নিজে প্রায় সতেরো বছর বাদশাহ মুহম্মদ বিন তুগলকের উপদেষ্টা ছিলেন), তাঁর পিতা বা চাচার অভিজ্ঞতা (তাঁর পিতাও একজন উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারী ছিলেন, চাচা ছিলেন দিল্লীর কোতোয়াল এবং বাদশাহ আলাউদ্দিন খিলজীর উপদেষ্টা), তাঁর মাতামহের অভিজ্ঞতা (মাতামহ ছিলেন বাদশাহ গিয়াসউদ্দিন বলবনের সিপাহশালার, যাকে বলবন বাংলা বিজয়ের সময় স্বল্পকালের জন্য বাংলার শাসককর্তার দায়িত্ব দিয়েছিলেন), এই বইতে লিপিবদ্ধ করেছেন। ফলে বইটি একই সঙ্গে একটি মূল্যবান ইতিহাস গ্রন্থ, আত্মজৈবনিক গ্রন্থ এবং স্মৃতিকাহিনী হয়ে উঠেছে। 'তারিখ' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে 'ইতিহাস' অর্থে। তবে জিয়াউদ্দিন বারাণীর তারিখ-ই-ফিরুজশাহী শুধু ফিরুজ শাহের ইতিহাস নয়। সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবনের সিংহাসনে আরোহণের পূর্বকালীন সময় থেকে (১২৬০ খৃস্টাব্দ)...
Specification
Titel: | তারিখ-ই-ফিরুজশাহী (NE) |
---|---|
Author | জিয়াউদ্দিন বারানী |
Translator: | গোলাম সামদানী কোরায়শী |
Publication: | দিব্যপ্রকাশ |
ISBN: | 978-984-8830-47-5 |
Edition: | ৩য় প্রকাশ মে ২০২৪ |
Number of Pages: | 488 |
Country: | Bangladesh |
Language: | Bangla - বাংলা |