এ পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর যত জীবনপঞ্জি প্রকাশিত হয়েছে, তা হয় খুবই সংক্ষিপ্ত, না হয় তথ্যের দিক দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ। উপরন্তু বঙ্গবন্ধুর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও স্মৃতি নিয়ে সচিত্র জীবনপঞ্জি খুব একটা চোখে পড়ে না। এ মহানায়কের নির্ভুল, সঠিক জীবনী জানা প্রত্যেক বাঙালির জন্য একান্ত আবশ্যকীয়। আলোচ্য গবেষণা গ্রন্থে প্রাথমিক তথ্য- উপাত্ত (primary sources)-এর ওপর ভিত্তি করে জাতির পিতার স্বল্প অথচ ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ঘটনাবহুল জীবন-কাহিনী ১৯২০ সালে জন্ম থেকে শুরু করে ১৯৭৫ সালে ঘাতক খুনি চক্রের হাতে প্রাণ বিসর্জন পর্যন্ত বছর পরিক্রমায় বিস্তৃত আকারে এবং বহু ক্ষেত্রে সচিত্র তুলে ধরার প্রয়াস নেয়া হয়েছে। তাই গ্রন্থের নামকরণ বঙ্গবন্ধুকোষ : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সচিত্র জীবন-বৃত্তান্ত। ঘটনার বর্ণনার পাশাপাশি আলোকচিত্র ব্যবহারের ফলে পাঠক মাত্র নিজেকে ভাবনা ও অনুভবে ঐ সময় ও ঘটনার কাছাকাছি নিজেকে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন, আশা করছি । বঙ্গবন্ধু সম্বন্ধে নতুন করে অনেক কিছু জানা এবং প্রচলিত তথ্যগত বিভ্রান্তি অবসানে এ গ্রন্থ সহায়ক এবং সকল পর্যায়ের পাঠকদের জন্য নির্ভরযোগ্য ও ব্যবহারোপযোগী হবে, এটি আমাদের বিশ্বাস ।
Specification
Titel:
বঙ্গবন্ধুকোষঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সচিত্র জীবন-বৃত্তান্ত
অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ (জন্ম: ২৭ অক্টোবর ১৯৫৪) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুইবারের উপাচার্য (২০১৩-২০২১)। এর আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে সিলেকশান গ্রেডের একজন অধ্যাপক ও উপ-উপাচার্য (২০০৯-২০০১২) নিযুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ‘বাংলাদেশ স্কাউটস, রোভার অঞ্চল’র সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। জন্ম পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার আইরন গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার বি.এ. (অনার্স) এবং মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। পরে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডব্লিউ এইচ মরিস-জোনস-এর তত্ত্বাবধানে ১৯৮৩ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি সুইডেনের উপসালা (শান্তি ও সংঘাতের উপর) ও জাপানের রিউকোকু (কিওটো) বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা করেন। ১৯৪৭-পূর্ব ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনাধীন অবিভক্ত বাংলা, পাকিস্তানি শাসনকাল, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, সমসাময়িক ভারত ও বাংলাদেশের রাজনীতি, এর গতিধারা ও রাজনৈতিক উন্নয়ন’ তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র। বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা ও স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্র গঠন সব সময় তাঁর গবেষণার কেন্দ্রীয় বিষয়। তাঁর গবেষণা-গ্রন্থের মধ্যে The Foreshadowing of Bangladesh 1906-1947 (fourth edition, UPL 2015), Inside Bengal Politics 1936-1947 : Unpublished Correspondence of Partition Leaders (second edition, UPL 2012), বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পুনর্পাঠ (ইউপিএল ২০১৩), বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা ও স্বাধীন বাংলাদেশের . অভ্যুদয় (আগামী প্রকাশনী ২০০৩), বাংলাদেশ : রাজনীতি সরকার ও শাসনতান্ত্রিক উন্নয়ন ১৭৫৭-২০০০ (নিউ এজ পাবলিকেশন্স ২০০১), “আমাদের বাঁচার দাবী’ : ৬ দফার ৫০ বছর (বাংলা একাডেমি ২০১৬), মূলধারার রাজনীতি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কাউন্সিল ১৯৪৯-২০১৬ (বাংলা একাডেমি ২০১৬), ৭ই মার্চের ভাষণ কেন বিশ্ব ঐতিহ্য-সম্পদ : বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ, (বাংলা একাডেমি ও অন্যপ্রকাশ ২০১৮) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রফেসর হারুন-অর-রশিদ বর্তমানে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিতে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এনসাইক্লোপিডিয়া’ (২০ খণ্ড) রচনা প্রকল্পের প্রধান হিসেবে গবেষণাকর্মে নিয়োজিত। বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় অবদান রাখার জন্য ২০২১ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন।
Such an incredibly complex story! I had to buy it because there was a waiting list of 30+ at the local library for this book. Thrilled that I made the purchase
I read this book shortly after I got it and didn't just put it on my TBR shelf mainly because I saw it on Reese Witherspoon's bookclub September read. It was one of the best books I've read this year, and reminded me some of Kristen Hannah's The Great Alone.