১৯৮২ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়া লাতিন আমেরিকার কথাসাহিত্যিক গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস-এর নাম সারা পৃথিবীর সাহিত্যপিপাসুদের মতোই বাংলা ভাষাভাষী সাহিত্যানুরাগী পাঠকদের কাছে সমানভাবে পরিচিত ও আদৃত। ১৯২৭ সালের ৬ মার্চ কলম্বিয়ার আরাকাতাকা-য় জন্ম নেওয়া এই লেখক-সাংবাদিক প্রকৃত অর্থেই লাতিন আমেরিকার সাহিত্যিক প্রতিনিধি। সাহিত্যজগতে বহুলকথিত জাদুবাস্তবতার অন্যতম প্রবর্তক তিনি।লাতিন আমেরিকা এবং কলম্বিয়ার অস্থির ইতিহাসের মতোই মার্কেস-এর জীবন বৈচিত্র্য আর নাটকীয়তায় ভরা। সেই জীবনের প্রায় ২৮ বছরের ঘটনাবলি এই আত্মজীবনীতে যেন আক্ষরিক অর্থেই রূপ পেয়েছে ভাষার মাহাত্ম্যে, ঘটনাবলির মহাকাব্যিক বিস্তারে আর অকপট সত্যভাষণে। কলম্বিয়ার রক্তাক্ত ইতিহাসের সমান্তরালে গৃহযুদ্ধের যোদ্ধা নানা নিকোলাস মার্কেস-এর কথা, বাবা-মার প্রেমকাহিনি আর দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে তাঁদের সংগ্রাম, এমনকি নিজের বিচিত্র যৌনজীবনের বিশদ ছবি—সবই এই গ্রন্থের বিষয়। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ঐতিহাসিক সব ঘটনাই মার্কেসের কলমে চিরকালীনতা পেয়েছে।মূল স্প্যানিশে বইটি ২০০২ সালে প্রকাশিত হয়েছিলো Vivir Para Contrala নামে। এডিথ গ্রসমান-কৃত ইংরেজি অনুবাদ ২০০৪ সালে পেঙ্গুইন বুক্স থেকে প্রকাশিত হয় Living to Tell the Tale নামে। বেঁচে আছি গল্পটা বলব বলে নামে ২০১০ সালে বাংলা ভাষান্তর প্রকাশিত হয় ।
গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস (জন্ম: ৬ মার্চ, ১৯২৭ - মৃত্যু: ১৭ এপ্রিল, ২০১৪ ), যিনি গাবো নামেও পরিচিত ছিলেন, একজন কলম্বীয় সাহিত্যিক, সাংবাদিক, প্রকাশক ও রাজনীতিবিদ এবং ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। নিঃসঙ্গতার একশ বছর বইয়ের লেখক হিসেবে তিনি বিশেষভাবে পরিচিত। কলম্বিয়ার সন্তান গার্সিয়া মার্কেস জীবনের বেশিরভাগ সময় বসবাস করেছেন মেক্সিকো এবং ইউরোপের বিভিন্ন শহরে। এই বিশ্ব বিখ্যাত কলম্বীয়, স্প্যানিয় ভাষী ঔপন্যাসিক বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধের সবচেয়ে আলোচিত, সবচেয়ে প্রভাবশালী লেখক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। জীবনের শেষ দুই যুগ তিনি ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচেছিলেন। এ সময় তার লেখালেখি কমে আসে; জনসংযোগ ও ভ্রমণ হয়ে পড়ে সীমিত। এমনকী ২০০২-এ আত্মজীবনীর প্রথম খণ্ড লিভিং টু টেল আ টেইল প্রকাশের পর পরিকল্পিত ২য় এবং ৩য় খণ্ড আর রচনা করা হয়ে ওঠেনি। তিনি দূরারোগ্য লিম্ফেটিক ক্যান্সারে ভুগছিলেন। ২০১২'র জুলাই থেকে তিনি স্মৃতি বিনষ্টিতে আক্রান্ত হন। মৃত্যুকালে তিনি একটি অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপি রেখে গিয়েছেন। সাহিত্যবিশারদদের মতে তিনি হোর্হে লুইস বোর্হেস এবং হুলিও কোর্তাসারের সাথে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ দক্ষিণ আমেরিকান কথাসাহিত্যিক। একই সঙ্গে জনপ্রিয় এবং মহৎ লেখক হিসেবে চার্লস ডিকেন্স, লেভ তলস্তয় ও আর্নেস্ট হেমিংওয়ের সঙ্গে তার নাম এক কাতারে উচ্চারিত হয়। ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে নোবেল পুরস্কার প্রদানের সময় সুইডিশ একাডেমি এমত মন্তব্য করেছিল যে তার প্রতিটি নতুন গ্রন্থের প্রকাশনা বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মতো। জনমানুষের সঙ্গে রাজনৈতিক যোগাযোগের কারণে তিনি ছিলেন বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। কিউবার নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রোর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিল প্রবাদপ্রতীম।
Such an incredibly complex story! I had to buy it because there was a waiting list of 30+ at the local library for this book. Thrilled that I made the purchase
I read this book shortly after I got it and didn't just put it on my TBR shelf mainly because I saw it on Reese Witherspoon's bookclub September read. It was one of the best books I've read this year, and reminded me some of Kristen Hannah's The Great Alone.